এই ভিসা তাদের কে দেয়া হয় যারা ভিন্ন ভিন্ন কাজে এক্সপেরিয়েন্সড, অথবা যারা কোনো বিশেষ কাজে অত্যন্ত দক্ষ অথবা, যাদের কোনো বিশেষ দক্ষতা নেই । খেয়াল করবেন বিষয়টা, তিন ধরনের সাব ক্যাটাগরি রয়েছে এই ইবি ৩ ভিসার:
- নাম্বার ওয়ান: যারা স্কিলড ওয়ার্কার
- নাম্বার টূ: যারা প্রফেশনাল ওয়ার্কার
- এবং নাম্বার থ্রি: যারা আনস্কিলড ওয়ার্কার (in other words যাদের কিছু বিশেষ কাজ করার স্বল্প এক্সপেরিয়েন্স আছে, অথবা নেই)
প্রথমে বলছি স্কিলড ওয়ার্কার সম্পর্কে,
স্কিলড ওয়ার্কার হচ্ছে যারা স্পেশালাইজড প্রফেশনাল না কিন্তু কোনো বিশেষ কাজের দক্ষতা রয়েছে বা স্কিল রয়েছে তারা।
তাহলে এই স্কিলড ওয়ার্কার কারা? কোন পেশার মানুষজন স্কিলড ওয়ার্কার সাব ক্যাটাগরিতে পড়বেন?
এদের পেশা হতে পারে উদাহরন সরূপ, গ্রাফিক্স ডিজাইনার, জার্নালিস্ট, ওয়েব ডেভেলপার, সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার ইত্যাদি
এসব কাজে যাদের ২ বছর বা তার চেয়ে বেশিদিনের অভিজ্ঞতা রয়েছে তারা এই স্কিলড ওয়ার্কার সাব ক্যাটাগরিতে ইবি থ্রি ভিসায় অ্যাপ্লাই করতে পারবেন।
এখানে শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রয়োজন কমপক্ষে ইন্টারমিডিয়েট পাশ অর্থ্যাৎ HSC পাশ। উচ্চতর ডিগ্রি থাকলে আরও ভালো।
আচ্ছা এবার বলছি প্রফেশনাল কারা:
অর্থ্যাৎ প্রফেশনাল ওয়ার্কার। এরা হচ্ছে শিক্ষক, স্কুলের শিক্ষক, ইউনিভার্সিটির শিক্ষক, তারপর লইয়ার, ডাক্তার, আর্কিটেক্ট, ইত্যাদি।
প্রফেশনাল ওয়ার্কার হচ্ছে এমন একজন ব্যক্তি যার কিনা কোনো একটি বিশষ কাজের এক্সপেরিয়েন্স রয়েছে, যে কাজের স্পেশালিটি অর্জনের জন্য প্রয়োজন উচ্চতর পড়াশোনা এবং ট্রেইনিং এর।
তো এরকম পেশায় যারা ইতোমধ্যে নিয়োজিত আছেন কমপক্ষে ২ বছর ধরে অথবা তার চেয়ে বেশি, তারা চাইলে. আমেরিকার EB-3 ভিসার জন্য প্রফেশনাল ওয়ার্কার সাব ক্যাটাগরিতে অ্যাপ্লাই করতে পারেন।
শিক্ষাগত যোগ্যতা এখানে কমপক্ষে ব্যাচেলরস থাকতেই হবে, এছাড়া বিশেষ সনদপত্র প্রয়োজন হবে যেমন যারা ডাক্তার তাদের সার্টিফিকেশন প্রয়োজন হবে, এর পর আরও উচ্চতর ডিগ্রি যদি থাকে আরও ভালো হবে।
আচ্ছা তিন নম্বর যেটা রয়েছে সেটা হচ্ছে আনস্কিকলড ওয়ার্কার
আনস্কিলড ওয়ার্কার হচ্ছে তারা যাদের কাজের অভিজ্ঞতা নেই অথবা থাকলেও সেটা ২ বছরের নিচে।
কোন পেশার মানুষদের আনস্কিলড ওয়ার্কার ক্যাটাগরিতে ফেলা হয়?
উদারহন সরূপ বলছি, ন্যানি - যারা বিভিন্ন বাসায় গিয়ে ছোট বাচ্চাদের টেক কেয়ার দেখাশোনা করে থাকে, তারপর হচ্ছে কেয়ার গিভার - যারা অসুস্থ অথবা বয়স্ক মানুষদের বাসায় গিয়ে তাদের সেবা যত্ন করে থাকেন, তারপর হতে পারে ক্লিনার - যে বাসায় গিয়ে সবকিছু ক্লিন করে থাকে, হতে পারে একজন রাধুনী - যে বাসায় গিয়ে কোনো পরিবারের জন্য নিয়মিত রান্নবান্না করে থাকে, অথবা হতে পারে বাড়ির লনে যারা ঘাস আগাছা কেটে পরিষ্কার করে তারা। ইত্যাদি কাজগুলো এই আনস্কিলড ওয়ার্কার সাব ক্যাটাগরির মধ্যে পড়ে।
তো এই গেলো ভিন্ন ভিন্ন সাব ক্যাটাগরি নিয়ে বিস্তারিত। এখন প্রশ্ন হচ্ছে ভিসা কীভাবে পাবো?
ইবি থ্রি ভিসা অ্যাপ্লাই করার জন্য সবকিছু আপনার ঠিক ঠাক থাকার পরে প্রয়োজন হবে একটি জব অফারের। অর্থ্যাৎ আপনার সব কিছু মিলে যাওয়ার পরেও যদি জবের অফার না আসে তাহলে আপনি অ্যাপ্লাই করতে পারবেন না।
এই জব অফার আমেরিকায় অবস্থিত ব্যক্তি যে কিনা একটি কোম্পানির মালিক সে পাঠাবে। অথবা কোম্পানীর এইচ আর বা অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ডিপার্টমেন্ট থেকে আপনার জব অফারের ব্যবস্থা করা হবে। আপনার নামে তারা একটি পিটিশন করবে যেটার নাম “ইমিগ্রেশন পিটিশন ফর ফরেন ওয়ার্কার”। কোম্পানিটিকে আমেরিকান ডিপার্টমেন্ট অফ লেবারের কাছে প্রমান করতে হবে, যে ওয়ার্কারের কাজের জন্য পিটিশন করা হচ্ছে সে কাজের জন্য যোগ্য কোনো লোকাল ব্যক্তি (অর্থ্যাৎ আমেরিকায় অবস্থিত ব্যক্তি) বর্তমান সময়ে আমেরিকাতে নেই অথবা পাওয়া কষ্টসাধ্য। এটা প্রমানের মাধ্যমে সেই কোম্পানি আপনার কাছে জব অফার পাঠাবে। এই পিটিশনের জন্য যে ফর্মটি আপনার এমপ্লয়ার কে অর্থ্যাৎ যে কিনা জব অফার পাঠাচ্ছে তাকে পূরন করতে হবে সেটা হচ্ছে, I-140 এবং এটা সাবমিট করতে হবে ইউ এস ডিপার্টমেন্ট অফ লেবারের কাছে। তারা যদি এটাকে অ্যাপ্রুভ করে তাহলে তারা এই আবেদনটি পাঠিয়ে দিবে USCIS এর কাছে। USCIS তখন ওই সাবমিট করা ফর্মের উপর আরেকটি পেপারের অ্যাপ্রুভাল দিবে যেটার নাম ETA 9089.
তো এই form I-140 এবং ETA 9089 আপনার নামে ইস্যু হয়ে গেলে ধরে নিতে হবে আপনার ভিসা অলমোস্ট হয়ে গেছে। এর পর বাকি কাজ হচ্ছে আপনার প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টগুলো কে আমেরিকান অ্যাম্বেসিতে জমা দেয়া। ওখান থেকে আপনার পাসপোর্টে ইবি৩ ভিসার সিল মারা হবে।
আরও বিস্তারিত USCIS এর ওয়েবসাইটে এই লিঙ্কে পড়তে পারেন।